এক দেশে ছিল এক মদন
লাউয়ের ডগার মতন তাহার বদন
তাহার চুল
যেন শ্রাবনের দু'কূল।
একটি মেয়ে বাসিল তারে ভালো
মুখ খানি তাহার একেবারে কালো।
চোখ খানি তাহার- ভূতের মত
শরীর খানা তাহার- মা'শায়াল্লাহ
কি আর বলিব
তাহার মতন দানবী আর কেউ নাই
পৃথিবীতে মানুষ আছে যত।
একদা সে মেয়েটাকে সাথে নিয়া
গেল কাজী অফিসে
এবং করিল নিকা।
বিয়ের পর তারা করিতে লাগিল সংসার
একদিন যায় দুদিন যায়
হঠাৎ একদিন সে
শুনিতে পাইল বৌ এর চিৎকার।
সময় হইয়াছে,
দখল করিল বৌ ঘরের প্রধান আসন
এখন তাহাকে করিতে হইবে জামাই শাসন।
সময় হইয়াছে,
বাজারে যাইবার
কাবাব হইবার।
ফিরিল বাজার হইতে শূণ্য তাহার হাত
তাহা দেখিয়া বৌ তাহারে করিতে
লাগিল আঘাত।
বৌ ঝাড়িল, "কেন বাজার আন নাই?"
উত্তরে সে কহিল, "জিনিস পত্রের দাম শুনিয়া হায়,
এক কেজি পুঁটি ৪০০ আর গোটা ইলিশ
হাজার টাকা চায়।
দাম শুনিয়া যে বৌ আমার পরাণ যায়।"
অনেক কষ্টে বৌ হইতে হাঁফ ছাড়িয়া বাঁচিল,
বৌয়ের নির্দেশে দু'বালতি কাপড় একাই কাঁচিল।
একদা ঝাড়ু হাতে
আসিতেছে তেড়ে
বিশাল শরীর নিয়া
এ কোন কেয়ামত
বৌ আসিতেছে দৌড়াইয়া
দৌড়াইয়া পালাল মদন বাড়ি ঘর ছাড়িয়া।
পালাইয়া গিয়া এবার বৌয়ের হাত হইতে বাঁচিল
নিশ্চিন্তে মদন এইবার মুচকাইয়া হাসিল।
বেচারা মদনের কপাল ফাঁটা
স্ত্রী লোক বলিতেই পিঠে ঝাঁটা।
মদন করিল কি ভুল
এইদিক ঘোরে, ঔদিক ঘোরে
পাইতেছে না কোন কূল।
ভাবিল মদন কি সে করিবে?
বিষ খাইবে নাকি
গলায় দড়ি দিয়া মরিবে?
বুঝিল মদন, কি জিনিস ললনা,
অন্য কিছু নাহি বা পারুক,
শুধু করিতে পারে ছলনা।
ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস
বিয়া করা সত্বেও
মদন বুঝি হইয়া যাইবে দেবদাস!!!